দাঁত ভালো রাখার উপায়

ঝকঝকে মুক্তোর মতো দাঁতের সারি চান, নাকি ছোট্ট একটা গজদাতের শখ বহুদিনের? দাঁতের ডাক্তারদের ছুমন্তরে আজ সবই সম্ভব। দরকার কেবল ঠিকঠাক খোঁজখবরের।

ইস্থেটিক ডেন্টিস্কি দাঁত ভাল রাখার উপায়: কয়েকটি সাধারণ নিয়ম

• নিয়মিত ব্রাশ করুন। দিনে দুবার।
• তাড়াহুড়ো করবেন না। অন্তত ২-৩ মিনিট সময় ব্যয় করুন।
• ভাল ব্রাশ কিনুন।
• সময় মতো ব্রাশ বদলান।
• চা, কফি, মিষ্টি খেয়ে মুখ কুলকুচি করুন।

ইস্থেটিক ডেন্টিস্ট্রি কী?

বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে অনেক অসম্ভবই সম্ভব হচ্ছে।
চা, কফি, শাম, ওয়াইনের পাগ তুলতে, গঠন সুন্দর করতে দাতের বয়স জগতে আধুনিক পদ্ধতিই ইস্থেটিক ডেন্টিষ্টি। হাসিতে জেল্লা আনতে এবং তাঁতের স্বাস্থ্য ভা ইস্থেটিক ডেন্টিষ্টির জবাব নেই। আধুনিক ডেন্টাল টেকনিকের সঙ্গে নানাবিধ উন্নত সরঞ্জামের সহায়তায় এই পদ্ধতি আজ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ব্লিচিং অথবা টুথ হোয়াইটনিং

ব্লিডিং হল এমনই এক পদ্ধতি যার সাহায্যে দাঁতের ঝকঝকে সাদা ভাব ফিরিয়ে আনা হয়। দাতের সাদা রং নষ্ট হয় দুভাবে।
বাহ্যিক কারণ। চা-কফি, কোলা, পান, মশলা, সুপুরি, সিগারেট, রেড ওয়াইন জাতীয় খাবার যা দাঁতে ছোপ ফেলে। এই দাগ দূর করা
সহজ।

আভ্যন্তরীণ কারণ:

দাঁতের গঠনের সমস্যা থেকে দাঁত বিবর্ণ হতে শুরু করে। গঠনের সমস্যা দেখা দেয় বয়সের কারণে, ট্রমা, দাঁত গঠনের প্রাথমিক স্তরে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া এবং নার্ভের ডিজেনারেশনের ফলে। এই সব ক্ষেত্রে দাঁতের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনা সময়
সাপেক্ষ।

কারা লাভবান হতে পারেন

প্রায় সকলেই। যাঁদের দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল, অন্য কোনও সমস্যা নেই, তাঁদের জন্য টুথ লাইটনিং আদর্শ। হলুদ, বাদামি এবং কমলা ছোপ
সহজেই ব্লিচ করা সম্ভব। ধূসর দাগ তুলতে কিঞ্চিৎ বো পেতে হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে কেবলমাত্র ব্লিচিংয়ে কাজ হয় না, বিশেষ কসমেটিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে হয়।

পদ্ধতি

দুরকম পদ্ধতি আছে। ‘অ্যাট হোম টেকনিক’-এ মাইল্ড ব্লিচিং জেল দেওয়া বিশেষ ধরনের কাস্টম ট্রে প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা করে পেশেন্টকে পরে থাকতে বলা হয়। এই পদ্ধতির সব থেকে বড় সুবিধে হল বাড়িতে বসে নিজের সুবিধে মতো সময়ে করা যেতে পারে। মাইল্ড ব্লিচিং জেল দেওয়া হয়। বলে তেমন ভয়ের কিছু থাকে না।
অন্য পদ্ধতিটি হল ‘ইন অফিস টেকনিক’। ডাক্তারের চেম্বারে বিশেষ ধরনের ব্লিচিং জেলের সাহায্যে করা হয়। ২০ মিনিট করে তিন বারে করা হয়। সব মিলিয়ে ১ ঘণ্টা সময় লাগে। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার ফল বোঝা যায় এবং নির্ভরযোগ্যও বটে। অনেকদিনের রাগ ও স্পটের জন্য এই পদ্ধতি অব্যর্থ।

কতটা নিরাপদ

ব্লিচিং খুবই নিরাপদ এবং কার্যকর পদ্ধতি। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এর ফলে মাড়ি এবং দাঁতের কোনও ক্ষতি হয় না।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

চিকিৎসা চলাকালীন অনেকের ঠান্ডা জল বা খাবারে দাঁত শিরশির করে। কেউ কেউ আবার মাড়িতে অস্বস্তি বোধ করেন। তবে এ সবই সাময়িক। চিকিৎসা শেষ হওয়ার দু-তিন দিনের মধ্যেই চলে যায়।

কতদিন পরপর করা প্রয়োজন

একবার করালে আগের চেয়ে ঝকঝকে থাকবে বহুদিন। তবে ইনাস বা এক বছরে একদিনের রিব্লিচিং বা ‘টাচ-আপ’ করিয়ে
নেওয়া যেতে পারে। যাঁরা অতিরিক্ত চা-কফি খান বা ধূমপান করেন তাঁদের ক্ষেত্রে চিকিৎসার ফল দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

কসমেটিক কন্ট্যুরিং

এই পদ্ধতিতে দাঁতের সারির গঠনের মেরামত করা হয় এবং সারিকে সোজা দেখায়। কম খরচে, এই
কাদান পদ্ধতিতে তুরন্ত পাতের চেহারা পালটে ফেলা যায়।

কারা লাভবান হতে পারেন

স্কুলে গিয়ে সামান্য ফ্র্যাকচার বা দাঁত ফাঁক হয়ে গেলে এই পদ্ধতিতে তা সারিয়ে ফেলা যায়। আপনার আমি যদি মোহময়ী করে তুলতে চান কিংবা বেশি ঠাসাঠাসি। দাতকে সামান্য হালকাভাবে সাজাতে চান, তা হলে করান কসমেটিক কন্ট্যুরিং। ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী হাসি বদলাতে এ পদ্ধতির জুড়ি নেই।

কতটা নিরাপদ

ঠিকমত করতে পারলে এই পদ্ধতিতে কোনও বিপদ নেই। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে না করালে অতিরিক্ত এনামেল উঠে যাওয়া, কোনও কোনও ক্ষেত্রে ভাল নাত ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কম্পোজিট বন্ডিং তর গঠনে সনাতন, নিরাপদ এবং দারুণ পদ্ধতি কিম। এই পদ্ধতিতে এক ধরনের মাসিক রজনের সাহায্য নেওয়া হাতের পুনর্গঠন, ক্ষতিগ্রস্ত নীতের সুরক্ষা এবং রোড অত্যাচারের হাত থেকে দাঁত বাঁচাতে।

যে সব ক্ষেত্রে কম্পোজিট বন্ডিং জরুরি

• ছোট হাত লম্বা করতে করতে করতে।

• হাতের দাগ তুলতে এবং রং ফেরাতে।

•দাঁত ফাটল সারাতে।

আপনার কি কসমেটিক ডেন্টিষ্টি দরকার?

  1. আপনি কি আপনার হাসি সম্পর্কে বিশ্বাসী।
  2. হাসার সময় আপনি কি হাত দিয়ে মুখ চাপা দেন।
  3. পাশ থেকে আপনার মুখের ছবি ভাল ওঠে।
  4. ফ্যাশন ম্যাগাজিন দেখার সময় মডেলের হাসির দিকে প্রথম নজর দেন।
  5. আয়নায় নিজের হাসি দেখার সময় হাত কিংবা মাড়ির ত্রুটি নজরে পড়ে
  6. আমার ত আর কে সাদা হত এমন ভাবেন?
  7.  আপনার মাড়ি নিয়ে কি আপনি খুশি।
  8. হাসার সময় অনেক হাত দেখা যায় না কিছু না দেখা যায়। আপনার
  9. খুব লম্বা না খুব ছোট।
  10. আপনার হাত কি খুব চওড়া না খুব সরু।
  11.  নম্বর ছাড়া বাকি প্রশ্নের উত্তর যদি ‘না’ হয়, আপনি আপনার ধাত এবং হাসি নিয়ে সঙ্কট। অতএব কসমেটিক ডেন্টিস্ট্রির প্রয়োজন নেই। পুরনো ফিলিং ঠিক করতে

পর্দাটি

দাতের ওপর প্রথমে মাইন্ড অ্যাসিড দিয়ে কন্ডিশন করা হয়। তারপর বাড়ি। ফ্লুইডে চেকে দেওয়া হয়। শেষে কে মারিয়া চাহিদা মতো গঠন দেওয়া হয়।

অসুবিধে

বেশি থাকে। অতিরিক্ত তাপে ফিলিং ভেঙে যেতে পাছে, বন্ডিং মেটিরিয়ালও
বডিংয়ের পরে যত্ন দাতে নখ কাটবেন না। বরফ, আপেল, ভুট্টা কামড়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। এ কি

পোর্সেলিন ভিনিয়ার্স

সিম্পল বন্ডিংয়ের চেয়ে এই পদ্ধতি অপেক্ষাকৃত জোরদার ঠিকমত যত্ন নিলে নঘদিন ঠিক থাকে। বিশেষভাবে তৈরি পোর্সেলিনের পাতলা সোনি-ট্রাপলিউসেন্ট শেল, মোটা সানিনেটস তৈরি করে স্বাভাবিক হাতের ওপর বসানো হয় করা লাভবান হতে পারে।

  •  ক্ষয়ে যাওয়া বা ভাঙা হাত ঠিক করতে
  • বিবর্ণ দাঁতের রং ফেরাতে
  • ফাইলিং ক্ষয়ে গেলে
  • হাসলে মাড়ি দেখা গেলে

সুবিধে

পোর্সেলিন ভিনিয়ার্সে রাগ করে না, রং চাটে না ও স্বাভাবিক দেখতে। মেকওয়াব জন্য পদ্ধতি ভিনিয়ার্সের নিজস্ব রং কখনও নটি হয় না। অতিরিক খাওয়ার ফলে দাগ হলেও সহজেই পালিশ করে নেওয়া

পদ্ধতি

তিনবারে করতে হয়। প্রঠ হাসি এ দাতের স্বাস্থ্য ও গঠনের ভিত্তিতে ডাক্তার মান করেন। দ্বিতীয়বার প্রাথমিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়, নাতের ছবি ল্যাবে পাঠানো হয়। টেম্পোরারি ল্যামিনেটস বসানো হয়। তৃতীয়বার হাতে ভিনিয়ার্স বসানো হয়।

সতর্কবার্তা

মুখের ভিতরের প্রাথমিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে তিনি মেনে চলুন। বছরে চারবার হাতের ডাক্তারের পরামর্শ নিন। খুব শক্ত কিছু হাতে কাটিতে চেষ্টা করবেন না।

কয়েকটি সাধারণ কসমেটিক সমস্যার মাঝে

• ধাত না থাকা • এলোমেলো হাতের সারি
• ছোট হওয়ার জন্য হাসলে মাড়ি দেখা যায়

ডাক্তারকে যে প্রশ্ন করবেন

• আমার দাঁত সম্পর্কে আপনার মতামত?
• এই চিকিৎসার ফল কতদিন থাকবে?
• কী যত্ন নেওয়া দরকার
• চিকিৎসার পর আমার স্বাভাবিক হাতের সঙ্গে কতটা লি
• খাওয়া দাওয়ার অভ্যাসের কি কোনও পরিবর্তন করতে হবে কত খরচ লাগবে?

Leave a Comment