বসন্তে স্পেশাল স্কিন কেয়ার 

বসন্ত মানেই অন্য হাওয়া, রঙের ছোঁয়া। শীতের শেষআর গরম শুরুরমাঝখানের সময়ে নিতেহয় ত্বকের বিশেষ যত্ন।

শীত চলে গেলেও তাররেশ থেকে যায়। আরএই শীত শেষের রেশেরপ্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকের ওপরে। যেহেতু শীতকালে শরীরেরবেশিরভাগ অংশ ঢাকা থাকে,তাই শুষ্ক রুক্ষ ত্বক, কনুই বাগোড়ালিতে কালো ছাপ—

এই সব কিছু নিয়ে আমরা খুব একটাভাবনাচিন্তা করি না। সত্যি কথা বলতে কি এই অভ্যেসটাই খুব খারাপ। কারণ শীতের সময়ে ত্বককে এই অবহেলা করার জন্যেই শীত পরবর্তী সময়ে ত্বকে দেখা দেয় নানারকম সমস্যা।

তবে তাই বলে বছরের এই সুন্দর সময়টাতে তো আর যেমন তেমন ভাবে থাকলে চলবে না। শীতের সব রুক্ষতাকে বিদায় জানিয়ে এই বসন্তে আপনার ত্বকে ফিরিয়ে আনুন নতুন জেল্লা। আর এই জেল্লা ফিরিয়ে আনার প্রথম ধাপই হল সঠিক ময়েশ্চারাইজিং।

আমরা হয়তো অনেকেই জানি না, ময়েশ্চারাইজার হিসেবে হোয়াইট পেট্রোলিয়াম জেলি কিন্তু খুবই উপকারী। বিশেষ করে আমাদের শরীরের যে সব অংশ সব থেকে বেশি রুক্ষ হয়ে যায়, যেমন গোড়ালি, কনুই, হাঁটু। রাতে শুতে যাওয়ার আগে ঈষদুষ্ণ গরম জলে স্নান করে যে সব অংশ বেশি রুক্ষ হয়ে গিয়েছে সেখানে ভাল করে হোয়াইট পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন।

যে কোনও ভাল সালতে গিয়ে তো অনায়াসেই এই সব ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন। কিন্তু ব্যস্ত শিডিউল থেকে আলাদা করে সময় বের করে সালতে আমরা মাসে দু’বার যেতে তো পারি না, তাই নিয়মিত চর্চা আপনাকে বাড়িতেই করতে হবে। তাই ট্রাই করে দেখুন কয়েকটি হোমমেড বডি স্ক্রাব ও ফেস প্যাক। সপ্তাহে দু’থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারলে দেখবেন এই বসন্তে ত্বকের কোনও রকম সমস্যাই আর আপনার সৌন্দর্যে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারছে না।

ব্রাউন শুগার-অলিভ অয়েল-জিঞ্জার বডি স্ক্রাব

দু’কাপ ব্রাউন শুগারের সঙ্গে এক কাপ অলিভ অয়েল এবং ২ চা-চামচ আদাবাটা ভালভাবে মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। স্নান করতে যাওয়ার অন্তত আধ ঘন্টা আগে সারা শরীরে এই জ্ঞান সার্কুলার মুভমেন্টে ভালভাবে মাসাজ করুন।

বিশেষ করে কনুই, গোড়ালি এবং হাঁটুর কাছে কারণ আমাদের শরীরের এই অংশগুলো তাড়াতাড়ি রুক্ষ হয়ে যায় এবং কালো ছোপ পড়ে যায়। আধ ঘণ্টা পরে বড়ি ওয়াশ দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। তোয়ালে দিয়ে হালকা করে গা মুছে নিন। জোরে জোরে ঘষবেন না।তবে এই স্ক্রাব বানিয়ে রেখে দেবেন না।

মিল্ক অ্যান্ড হানি ফুট ট্রিটমেন্ট

পা ডোবানো যায় এমন একটা কন্টেনারে দু’ কাপ দুধের সঙ্গে এক কাপ মধু মিশিয়ে নিন। প্রয়োজনে এর মধ্যে ঈষদুষ্ণ গরম জলও নিতে পারেন। এতে পায়ে আরও বেশি আরাম পাবেন। এর মধ্যে পনেরো মিনিটের মতো পা ডুবিয়ে রাখুন। হালকা করে মাসাজও করতে পারেন। পামিস স্টোনও অথবা ফুট স্ক্রাবারও ব্যবহার করতে পারেন। পনেরো মিনিট পরে ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন। তোয়ালে দিয়ে হালকা করে মুছে নিন। এই একই মিশ্রণ হাতে, কনুইতে বা মুখেও লাগাতে পারেন। এতে ত্বক নরম ও কোমল হবে। ত্বকে ফিরে আসবে নতুন জেল্লা।

Leave a Comment